''you are wonderful''.এটা ছিল তাঁর বলা শেষ বাক্য
কোনান ডয়েল সবচেয়ে বেশি লিখেছেন শার্লক হোমস চরিত্রটি নিয়ে। শার্লক হোমসকে নিয়ে লেখা তার গল্পের সংখ্যা ৫৪টি, উপন্যাস ৪টি। মজার ব্যাপার হল, এই শার্লক হোমসকে নিয়ে লিখতে লিখতেও একসময় অধৈর্য হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
১৮৯১ সালে মাকে এক চিঠিতে লিখেছিলেন--- “আমি হোমসকে খুন করানোর চিন্তা করছি... সে আমার মাথা থেকে অন্যান্য জিনিসগুলোকে বের করে দিচ্ছে।”
এই চিন্তা থেকেই ‘দ্য ফাইনাল প্রবলেম’ গল্পে তিনি শার্লক হোমসকে খুন করালেন। আর তারপর, তার মায়ের কথা মতোই, সব পাঠক শার্লককে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাতে শুরু করল। পাঠকের চাপে শেষমেশ ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চার অফ দ্য এম্পটি হাউজ’ গল্পে অবিশ্বাস্যভাবে ফিরিয়ে আনলেন শার্লককে।
তিনি যে শার্লক হোমস চরিত্রটির জন্য জগদ্বিখ্যাত, সেই চরিত্রটির পেছনে একজন সত্যিকার মানুষ ছিল-- নাম তার প্রফেসর জোসেফ বেল। তিনি কোনান ডয়েলের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এক শিক্ষক। জোসেফ বেলের চরিত্র শার্লক হোমসে এতটাই পরিষ্কার, একবার তো কোনান ডয়েলকে একজন জিজ্ঞেসই করে বসলেন, “শার্লক কি আমার বন্ধু জো?”
বোঝাই যাচ্ছে, বন্ধুটি জোসেফ বেলকে ‘জো’ বলেই ডাকতেন।
স্যার আর্থার কোনান ডয়েল। গোয়েন্দাকুল শিরোমণি শার্লক হোমসের স্রষ্টা। তিনি জন্মেছিলেন ১৮৫৯ সালের ২২ মে, স্কটল্যান্ডের এডিনবরায়। আর মৃত্যুবরণ করেন ১৯৩০ সালের ৭ জুলাই, ইংল্যান্ডের সাসেক্সে।
পেশায় ডাক্তার হলেও ডাক্তার হিসেবে তেমন খ্যাতি তিনি অর্জন করতে পারেননি। তবে লেখক হিসেবে তার যে কেমন অসামান্য খ্যাতি ছিল, অমর চরিত্র শার্লক হোমস-ই তো তার বড় প্রমাণ। তবে ডয়েলের আরও একটি বিখ্যাত চরিত্র আছে-- প্রফেসর চ্যালেঞ্জার। এছাড়া তিনি আরও অনেক কিছুই লিখেছেন। সেসবের মধ্যে আছে- সায়েন্স ফিকশন, নাটক, রোম্যান্স, কবিতা, ঐতিহাসিক উপন্যাস, স্মৃতিকথা আর কিছু নন-ফিকশন রচনা।
স্যার আর্থার কোনান ডয়েল – এই নামটি শুনলে সবারই মনে আসবে বিশ্ববিখ্যাত গোয়েন্দা কাহিনী শার্লক হোমসের কথা। তবে, কোনান ডয়েলের ক্রিকেট প্রতিভার কথা খুব লোকই জানেন। বিস্ময়কর হলেও সত্যি যে টানা আট বছর (১৮৯৯-১৯০৭) পেশাদার ক্রিকেটে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন এই স্কটিশ।
যদিও ক্রিকেটার হিসেবে বেশ একটা নাম-ডাক ছিল না শার্লক হোমসের স্রষ্টার। মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে গোটা ক্যারিয়ারের পেয়েছিলেন মাত্র একটি উইকেট। কিন্তু সেই উইকেটের মূল্য, ক্রিকেটের খোঁজ-খবর রাখেন যারা কেবল তারাই বুঝতে পারবেন!
ঘটনাটা ঘটে সেই ১৯০২ সালে। ক্রিস্টাল প্যালেস পার্কে লন্ডন কাউন্টির হয়ে ব্যাট করছিলেন ডব্লিউ জি গ্রেস। তখন ১১০ রানে অপরাজিত ছিলেন। বোলিং প্রান্তে তখন কোনান ডয়েল। সাধারণ একটা বলে লং অফে ক্যাচ তুলে দিলেন। ব্যস! ডয়েল পেয়ে গেলেন তার একমাত্র প্রথম শ্রেনির উইকেট। এমন রহস্যেও সমাধান করতে না আবার শার্লক হোমসেরই ডাক পড়ে!
স্যার আর্থার কোনান ডয়েল বহু দিন ইতালিতে কাটিয়ে ফ্রান্সের প্যারিসে এসেছেন। রেলস্টেশনে ট্যাক্সির দিকে এগিয়ে যেতেই চালক দরজা খুলে দিয়ে বলল, ‘গুড ইভিনিং মিস্টার ডয়েল!’
চমকে গেলেন ডয়েল। অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি আমাকে চিনলে কী করে?’
বিনয়ের সঙ্গে বলল চালক, ‘স্যার, আপনাকে দেখেই বোঝা যায়, আপনি একজন সম্ভ্রান্ত ইংরেজ। আপনার চুল দেখে বোঝা যাচ্ছে, ইতালির কোনো সেলুন থেকে কাটা। আপনার গায়ের রংও ফ্রান্সের রোদ্দুরে ঘুরে ঘুরে হালকা বাদামি হয়ে গেছে। তা ছাড়া এ সময়ই একটা ট্রেন প্যারিসে আসে। সব মিলিয়ে মনে হলো, আপনিই কোনান ডয়েল!’
মুগ্ধ হলেন ডয়েল, ‘বাহ্! তুমি তো দারুণ করিৎকর্মা হে! তোমার নজর তো দেখছি শার্লক হোমসকেও হার মানায়!’
চালক: ‘ধন্যবাদ স্যার! আরেকটা ব্যাপারও স্যার আমার নজর এড়ায়নি। আপনার ব্যাগের ওপর লেখা আপনার নামটা!’
সবকিছুই মানুষের চোখের সামনে থাকে; কিন্তু মানুষের চোখ যা যা দেখতে ব্যর্থ হয়, তাই রহস্য!
-স্যার আর্থার কোনান ডয়েল
আর্থার কোনান ডয়েল ব্রিটেনের রানির কাছ থেকে নাইটহুড পেয়েছিলেন। নাইটহুড হল একটা সম্মানসূচক উপাধি। এই উপাধি পেলে তার নামের আগে ‘স্যার’ বলা যায়। নাইটহুড পেয়েছিলেন বলেই আমরা তাকে স্যার আর্থার কোনান ডয়েল বলি। মজার বিষয় হল, সকলের ধারণা তিনি নাইটহুড পেয়েছিলেন শার্লক হোমসের জন্য। আসলে কিন্তু তিনি শার্লক হোমসের জন্য তিনি নাইটহুড পাননি। বরং নাইটহুড পেয়েছিলেন বোয়ার যুদ্ধের উপর লেখা তার নন-ফিকশন রচনাগুলোর জন্য।
কোনান ডয়েল ব্রিটেনে নির্বাচনেও দাঁড়িয়েছিলেন। তা-ও আবার একবার নয়, দুবার। আর হেরেছিলেনও দুবার-ই! তবে প্রতিবারই তিনি মোটামুটি ভালো ভোট-ই পেয়েছিলেন।
তিনি কিন্তু অতিপ্রাকৃত শক্তিতে বিশ্বাস করতেন! মানে জাদুবিদ্যায় বিশ্বাস করতেন।
সে সময় হ্যারি হুডিনি নামের এক জাদুকর বেশ নাম করেছিল। বিশেষ করে, হ্যান্ডকাফ পরিয়ে বা অন্য কোনোভাবে তাকে বন্দি করে রাখার পর একা একাই বের হয়ে আসার খেলা দেখানো তিনি-ই শুরু করেন। একবার তো জীবন্ত কবর দিয়ে দেওয়ার পর সেখান থেকেও বেরিয়ে আসেন তিনি। সে যাই হোক, জাদুকররা তো মূলত কৌশলে জাদু দেখায়। এ তো আর সত্যি কিছু নয়। শেষজীবনে সে কথা স্বীকারও করেছিলেন হ্যারি ‘হ্যান্ডকাফ’ হুডিনি। এ কথাও কিন্তু কোনান ডয়েল বিশ্বাস করতেন না! তার ধারণা ছিল, জাদুকরার সত্যিই জাদু জানে। এমনকি, তিনি জাদু জানেন না, কৌশলের মাধ্যমে জাদু দেখান-- এ কথা স্বীকার করার পর হ্যারি হুডিনির সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বেরও ইতি ঘটান আর্থার কোনান ডয়েল।
শার্লক হোমসের স্রষ্টা আর্থার কোনান ডুয়েল রহস্যময় জীবনের সবটুকু রুপ-রস-গন্ধ নিয়ে জীবন্ত হয়ে আছেন এখনো ।
জীবনের রহস্য নিয়ে আজন্ম কাজ করা এই মানুষটি জীবনের সায়াহ্নে তাঁর স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন , ''you are wonderful''.এটা ছিল তাঁর বলা শেষ বাক্য ।
রহস্যময় জীবনের শেষ কথাটাও এমনি সত্যি। ভালোবেসে পাশে থাকা জীবনের একমাত্র প্রথম ও শেষ বাক্য যা বেঁচেছিল , আছে , থাকবে ।
শুভ জন্মদিন স্যার আর্থার কোনান ডুয়েল।আপনি না থাকলে আমার কৈশোর জীবনটা এত এডভেঞ্চারাস হত না। আপনি বেঁচে থাকুন পৃথিবীর শেষদিন পর্যন্ত আপনার সৃষ্টির মাধ্যমে।
Conan Doyle has written the most about the character Sherlock Holmes. He has written 54 stories and 4 novels about Sherlock Holmes. Interestingly, he was once impatient to write about this Sherlock Holmes.
In a letter to his mother in 1891, he wrote --- "I am thinking of killing Holmes ... he is taking other things out of my head."
It was with this in mind that he murdered Sherlock Holmes in the story The Final Problem. And then, as his mother had said, all the readers began to demand Sherlock's return. Under the pressure of the reader, Sherlock was brought back incredibly in the story ‘The Adventure of the Empty House’.
There was a real man behind the Sherlock Holmes character he was world famous for - his name was Professor Joseph Bell. He is one of Conan Doyle's university life teachers. Joseph Bell's character is so clear in Sherlock Holmes, once Conan Doyle was asked, "Is Sherlock my friend Joe?"
Apparently, the friend used to call Joseph Bell 'Joe'.
Sir Arthur Conan Doyle. Detective Shiromani is the creator of Sherlock Holmes. He was born on May 22, 1859, in Edinburgh, Scotland. He died on July 6, 1930 in Sussex, England.
Although he was a doctor by profession, he did not gain much fame as a doctor. But the immortal character Sherlock Holmes is a great proof of his outstanding reputation as a writer. But Doyle has another famous character - Professor Challenger. He also wrote many more. These include science fiction, drama, romance, poetry, historical novels, memoirs and some non-fiction works.
Sir Arthur Conan Doyle - This name will remind everyone of the world famous detective story Sherlock Holmes. However, very few people know about Conan Doyle's cricketing talent. Surprisingly, it is true that the Scots have dominated professional cricket for eight consecutive years (1899-1908).
Although the creator of Sherlock Holmes was not quite a name as a cricketer. He has taken just one wicket in his entire career for Marylebone Cricket Club. But the value of that wicket, only those who keep track of cricket can understand!
The incident took place in 1902. WG Grace was batting for London County at Crystal Palace Park. He was unbeaten on 110 then. Conan Doyle then at the bowling end. Long off caught with a simple ball. Busy! Doyle got his only first-class wicket. Sherlock Holmes is called again not to solve such a mystery!
Sir Arthur Conan Doyle came to Paris, France after spending many days in Italy. As he approached the taxi at the train station, the driver opened the door and said, "Good evening, Mr. Doyle!"
Doyle was startled. Surprised, he asked, "How do you know me?"
The driver said politely, ‘Sir, it is clear from looking at you, you are an aristocratic Englishman. Looking at your hair, it is understood that it is cut from any salon in Italy. The color of your skin has also turned light brown in the sun of France. Apart from that, a train arrives in Paris at this time. All in all, I thought you were Conan Doyle! '
Fascinated, Doyle said, ‘Wow! You are a great doer! I can see that Sherlock Holmes is losing too! '
Driver: ‘Thank you sir! Another thing, sir, did not escape my notice. Your name is written on your bag! '
Everything is before the eyes of man; But whatever the human eye fails to see, so mystery!
-Sir Arthur Conan Doyle
Arthur Conan Doyle received knighthood from the Queen of Britain. Knighthood is an honorary title. If he gets this title, he can be called 'Sir' before his name. We call him Sir Arthur Conan Doyle because he got the knighthood. Interestingly, everyone thought he got the knighthood for Sherlock Holmes. In fact but he didn’t get the knighthood for Sherlock Holmes. Rather Knighthood got him for his non-fiction essays on the Boer War.
Conan Doyle also ran in elections in Britain. That too not once, but twice. And lost twice! But every time he got a fairly good vote.
But he believed in supernatural powers! I mean, he believed in magic.
At that time a magician named Harry Houdini had quite a name. In particular, he started playing the game of coming out alone after being handcuffed or otherwise imprisoned. Once he was buried alive, he came out of there. Whatever it is, magicians are basically magicians. This is nothing more true. Harry ‘Handcuff’ Houdini also admitted that in his last life. But Conan Doyle did not believe! His idea was, the magician really knows magic. Arthur Conan Doyle even ended his long-standing friendship with Harry Houdini after admitting that he did not know magic, but used magic.
Arthur Conan Doyle, the creator of Sherlock Holmes, is still alive with all the flavors of life.
This man, who was born with the mystery of life, looked at his wife in the evening and said, "You are wonderful." That was the last word he said.
The last word of the mysterious life is also true. The only first and last sentence of life that is beside love is what survived, is, will be.
Happy Birthday Sir Arthur Conan Doyle. My teenage life would not have been so adventurous without you. You survive through your creation until the end of the world.
No comments
Please do not any spam in the comments Box.